জানা গেছে, বড় চরকালিয়া মৌজার ৭০৩ খতিয়ানে ৪২২ দাগে ৩৫ শতাংশ জমিতে জায়গার মালিক মুক্তিযোদ্ধা মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে কৃষি ফসল চাষ করে আসছে। কিন্তু গত কয়েক বছর আগে দেলোয়ার হোসেনের ফুফাতো ভাই জায়গার মালিকানা দাবি করে।
এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দেখা দেয় ভাগবিতন্ডতা ও আদালতে মামলাও হয়েছে। কিন্তু কাগজপত্র ও দখলীয় সুত্রে দেখা গেছে দেলোয়ার হোসেনই ওয়ারিশ সুত্রে উক্ত জমির প্রকৃত মালিক। ওই কৃষি জমি দখলের ৩০ ডিসেম্বর রাতে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা শুরু করলে দেলোয়ার ৯৯৯ এ কল করেন।
পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসেন এবং ভেকুটি জব্দ করে স্থানীয় একজনের হেফাজতে রাখা হয়।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই দেখছি আমার বাবা এই জমি চাষ করেন। বড় হয়ে আমি নিজেও চাষ করি। কিন্তু আমার ফুফাতো ভাই তাদের জমি মনে উক্ত জমি দখল করতে রাতের আধারে ভেকু মেশিন মাটি কাটা শুরু করে। পরে আমি ৯৯৯ এ কল করে আইনের সহযোগিতা চাই।
তিনি আরও বলেন, আমার জমি বাঁচাতে আদালতে মামলা করেছি। সেই মামলায় ভুমি অফিসের প্রতিবেদনও আমার পক্ষে আছে। সুতরাং তারা জোড় করে আমার জমি দখল করতে চাইলেও পারবে না। তাছাড়া কৃষি মাটি কেটে নস্ট করারও বেআইনি।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, কল আসার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এখন মাটি কাটা বন্ধ আছে।
তিনি আরও বলেন, জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলো বিজ্ঞ আদালতের বিষয়। অভিযোগ পেলে আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমা বলেন, কৃষি জমি নস্ট করা আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে এই বিষয়টি যেতে ফৌজদারী অপরাধে পড়ে সেক্ষেত্রে এডিএম কোর্টে মামলা করলে আইগত সহায়তা পাবে। তবে বিষয়টি আমি খোঁজ খবর নিব।