ঢাকাশনিবার , ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলামিক
  7. কবিতা
  8. কৃষি সংবাদ
  9. ক্যাম্পাস
  10. খাদ্য ও পুষ্টি
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. ছড়া
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ধনাগোদা নদীতে অবৈধ ভাসমান রেস্টুরেন্ট : প্রশাসনের নীরবতা, প্রভাবশালীদের দাপট

স্টাফ রিপোর্টার
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫ ২:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিষেধাজ্ঞা, যৌথ বাহিনীর সতর্কতা এবং প্রশাসনের একাধিক চিঠি সবকিছু তুচ্ছ করে এখনো বীরদর্পে চালু রয়েছে ধনাগোদা নদীতে অবৈধভাবে নির্মিত ভাসমান রেস্টুরেন্ট ‘ধনাগোদা রিভারভিউ রিসোর্ট অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’।

ধনাগোদা নদীর বুক চিরে প্রায় ২০০ ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এই অবৈধ স্থাপনা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেন খান গত জুনে মালিকদের তিন দিনের মধ্যে স্থাপনা অপসারণের নোটিশ দেন। আইন অনুযায়ী এটি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি দখল ও নদী ধ্বংসের স্পষ্ট অপরাধ। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেছে মাসের পর মাস, তবুও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই।

ধনাগোদা নদীতে অবৈধ রেস্টুরেন্ট শুধু একটি অবৈধ স্থাপনা নয়, এটি আইনের প্রতি প্রকাশ্য বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন। সেনাবাহিনী ও পুলিশের সতর্কতা, বিদ্যুৎ বিভাগের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নোটিশ—সবকিছুকেই অবজ্ঞা করে চলছে দখলবাজদের রমরমা ব্যবসা। এখন প্রশ্ন একটাই: রাষ্ট্রীয় আইন কোথায়? প্রশাসনের শক্তি কার পক্ষে—জনগণ না দখলদার?

এটি শুধু নদী দখলের ঘটনা নয়; এটি রাষ্ট্রীয় আইনকে প্রকাশ্যে উপহাস, প্রশাসনের ব্যর্থতা এবং প্রভাবশালীদের অদৃশ্য শক্তির নগ্ন প্রদর্শনী। গত ১ আগস্ট সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম সরেজমিন গিয়ে মালিকদের সতর্ক করে। স্বাভাবিক নিয়মে এর পরপরই উচ্ছেদ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উল্টো বেড়িবাঁধ দখল করে নতুন টয়লেট নির্মাণ শুরু হয়েছে।

আবাসিক মিটার থেকে ৪০০ মিটার দূরে টেনে আনা হয়েছে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ। শত শত লাইট ও ফ্যান চালিয়ে চলছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে বিদ্যুৎ বিভাগের ওই সময়ের এজিএম শহিদুল ইসলামকে মালিকপক্ষ প্রকাশ্যে হেনস্তা করেছে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু স্থানীয়দের প্রশ্ন, মাসের পর মাস আলোচনা চলছে—পদক্ষেপ কোথায়? অনেকেই বলছেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এতদিন টিকে আছে এই রেস্টুরেন্ট। স্থানীয় কৃষক রফিক মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নদীটা আমাদের বাঁচার উৎস ছিল, এখন প্রভাবশালীরা নদীটাকেও গিলে খাচ্ছে।”

অভিযুক্ত মালিক সিদ্দিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, “নিউজ করলে আমার কিছু হবে না, উল্টো রেস্টুরেন্টের প্রচারণা হবে।” এই বক্তব্যই প্রমাণ করে, তিনি প্রশাসন ও আইনের তোয়াক্কা করেন না। এর পেছনে কে বা কারা তাকে ছায়া দিচ্ছে, সেটাই এখন জনমতের বড় প্রশ্ন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম সাহেদ বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি বলেছেন, “এটা আমাদের কাজ নয়, এটি দেখবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।”

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
%d bloggers like this: