ফরিদগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে মানববন্ধনে হামলাকারীরা বর্তমান ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কেউ নন বলে দাবি করেছেন উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. মঞ্জিল হোসেন উপজেলা বিএনপির পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ৫ আগস্টের পর এ দেশের মানুষ এখন স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে। সেই হিসেবে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদগঞ্জ থানার মোড় এলাকায় দণ্ডপ্রাপ্তদের স্বজনদের ব্যানারে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ওই মানববন্ধনে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে, যা দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। এই ধরনের হামলা ও হামলাকারীদের কোনোভাবেই ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম. এ. হান্নানের নেতৃত্বাধীন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সমর্থকরা সমর্থন করে না।
কিন্তু ওই ঘটনা ঘটার পর বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয় যে হামলাকারীরা ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির। যা মোটেই সঠিক নয়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চাঁদপুর জেলা যুবদলের সদস্য আ. মতিনকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় যুবদল সব পদ থেকে স্থগিত করেছে। আমরা এই ঘটনাকে সমর্থন দিয়ে বলতে চাই, দ্রুত প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মফিজুল ইসলাম চৌধুরী, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আমানত গাজী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ, নজরুল ইসলাম নজু পাটওয়ারী, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন মিজি, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আমজাদ হোসেন শিপন, পৌর যুবদলের সভাপতি ইমাম হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আক্তার হোসেন, সদস্য সচিব মো. ফারুক হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আরিফ পাটওয়ারী, সদস্য সচিব ছবুর পাটওয়ারী রুবেল, পৌর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ইউনুছ বেপারী, পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ পাটওয়ারী, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল আমিন মোল্লাসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।