চাঁদপুর সরকারি শিশু পরিবার এবং বাক শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের খ, গ ও ঙ গ্রুপের ৬টি টেন্ডার একই ব্যক্তির দখলে গেছে। অভিযোগ উঠেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘনিষ্ঠজন জৈনক্য ভরত বাবু নামের এক ব্যক্তি নিয়ম ভঙ্গ করে এসব কাজ পেয়েছেন।
চাঁদপুর সরকারি শিশু পরিবারে গিয়ে দেখা যায়, শিশুদের দুপুরের খাবারে পরিবেশন করা হয়েছে নিম্নমানের চালের ভাত, সিলভার কাপ মাছ ও পাতলা ডালের পানি। এমনকি শিশুদের দিয়েই ফ্লোর ঝাড়ু দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
টেন্ডারের নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে শিশু পরিবার ও বাক শ্রবণ বিদ্যালয়ে তিনটি গ্রুপে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। ‘খ’ গ্রুপ আনুষঙ্গিক (কাপড়, সাবান, তেল, ঔষধ, খাতা-কলম ইত্যাদি), ‘গ’ গ্রুপ খাদ্য, ‘ঙ’ গ্রুপ বছরের থোক বরাদ্দ (২–৫ লাখ টাকার কাজ)। সেই আলোকে চলতি বছরের ৯ জুলাই টেন্ডার খোলা হলে দেখা যায় সর্বনিম্ন দরদাতা: গ্লোবথ ট্রেডার্স, দ্বিতীয় সর্বনিম্ন: মেসার্স রহমান ব্রাদার্স, তৃতীয় সর্বনিম্ন: সেলিম খান, চতুর্থ সর্বনিম্ন: সোহাগ মেডিকেল (ভরত বাবুর প্রতিষ্ঠান), পঞ্চম সর্বনিম্ন: লক্ষী নারায়ণ।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেটি উপেক্ষা করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা গ্লোবথ ট্রেডার্স বাদ, চতুর্থ সর্বনিম্ন দরদাতা সোহাগ মেডিকেল (ভরত বাবু) কাজ পান। অথচ ২০০৮ সালের পিআর অনুযায়ী এবং গত ১০ বছর ধরে সর্বনিম্ন দরদাতাকেই কাজ দেওয়া হয়ে আসছে।
কাজ পাওয়া জৈনক্য ভরত বাবু বলেন, আমি দুই প্রতিষ্ঠানের ৩টি করে মোট ৬টি গ্রুপের জন্য টেন্ডার জমা দিয়েছিলাম। যাচাই-বাছাই কমিটি আমাকে কাজ দিয়েছে। সেই নিয়মেই আমি কাজ করে যাচ্ছি।
চাঁদপুর সরকারি শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক ছায়রদ উদ্দিন বলেন, টেন্ডারের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। এ বিষয়ে একটি কমিটি রয়েছে। এর আহ্বায়ক এডিসি ও সদস্য সচিব সমাজসেবা অধিদপ্তরের ডিডি। আমি কেবল ওই কমিটির একজন সদস্য। বিস্তারিত জানতে হলে কমিটির আহ্বায়ক বা সদস্য সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।