জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মোতাহার হোসেন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে আনন্দ র্যালি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আম্বিয়া-ইউনুছ ফাউন্ডেশন এরিয়ায় এসে সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোতাহার হোসেন পাটওয়ারী ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব আবদুল মতিন।
আনন্দ শোভাযাত্রায় বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এস. এম. মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য ও ফরিদগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং ফরিদগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি সিরাজুল ইসলাম পাপক, ঢাকা মহানগর যুবদলের সদস্য মনোয়ারুল হক মানিক, ফরিদগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সাবেক জিএস মামুন, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র আহ্বায়ক এমরান হোসেন স্বপন, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে আলম চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল কায়েম সুমন, ছাত্রদল নেতা পারভেজ প্রমুখ।
সমাবেশে মোতাহার হোসেন পাটওয়ারী বলেন,
“১৭ বছর মানুষ অবরুদ্ধ ছিল। মুক্ত কণ্ঠে কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না। গণতন্ত্রহীন গোটা বাংলাদেশ ছিল এক কারাগার। আজ জাতি স্বাধীনভাবে শ্বাস নিতে পারছে। গণতান্ত্রিক একটি নির্বাচন দেখার গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছে সাধারণ মানুষ। আশা করি, বাংলাদেশের অহংকার ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকেই মনোনয়ন দেবেন যার দলে অবদান রয়েছে।
আমাদের অনেক নেতা রয়েছেন, যারা সেই বিভীষিকাময় সময়ে ধৈর্য হারিয়ে আওয়ামী লীগের সাথে লিয়াজো করে চলেছেন। অথচ আমি ১৩টি মামলার আসামি। ব্যবসায়িকভাবে আমি আওয়ামী লীগের দ্বারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। অপরাধ শুধু এটাই— আমি মনে-প্রাণে বিএনপি করতাম।”