চাদদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহরখাদী গ্রামের চৌধুরী বাড়ির গোলাম ছামদানী কাদেরী ছৌধুরীর ছেলে গোলাম মর্তুজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে নগদ অর্থ আত্মসাৎ এবং ভুক্তভোগীদের প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ৩ ভুক্তভোগী অভিযোগ এবং সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন।
গোলাম মর্তুজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ১২ আগস্ট চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেন মনোহরখাদী গ্রামের ছাদামের মেয়ে লামিয়া আক্তার (৩৪)।
তিনি অভিযোগ উল্লেখ করেন, গোলাম মর্তুজা চৌধুরী তার নিজ বাড়ীতে তার কাছ থেকে গত ১০ মার্চ হাজী দেলয়োর হোসেন নামে ব্যাক্তির উপস্থিতিতে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা হাওলাত নেন। পরবর্তীতে লামিয়া তার প্রয়োজনে মুর্তুজার কাছ থেকে টাকা চাইলে বেশ কয়েকদিন দিবে বলে টালবাহানা করে। সর্বশেষ তাকে টাকা দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গোলাম মর্তুজা তাকে টাকা দিবে না বলে হুমকি ধমকি দেয় এবং বলে তোর কে আছে নিয়ে আমি দেখ নিব।
আরেক ভুক্তভোগী মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের বড় বাড়ির মো. আমান উল্লাহর ছেলে তানভীর আহম্মেদ (৩৩)। তিনিও গোলাম মর্তুজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ১২ আগস্ট চাঁদপুর সদর মডেল থানায় জিডি করেছেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন গত ১ মার্চ গোলাম মর্তুজা চৌধুরীর তার কাছ থেকে ১ মাস ১৫ দিনের মধ্যে বিদেশ নিবেন বলে ৩লাখ টাকা নেন। কিন্তু প্রায় ৫ মাস অতিবাহিত হলেও তাকে বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ হন। যে কারণে তিনি গত ২ আগস্ট দুপুরে তার কাছ থেকে আমার পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমাকে আমার পরিবারের লোকদের প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। যে কারণে তিনি থানায় জিডি করেন।
অপরদিকে গোলাম মর্তুজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ১২ আগস্ট থানায় জিডি করেন আরেক ভুক্তভোগী মতলব দক্ষিণ উপজেলার আবুল কাশেম খানের ছেলে মো. সেলিম খান (৪৮)।
তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন গত ১৫ জুন গোলাম মর্তুজা চৌধুরী সাবেক ১০৬ নং হাল দামদারদী মৌজার জেএল নম্বর ১১ এর ১০৬ নং খতিয়ান এর অন্তুর্ভুক্ত ১৭২ দাগে ১০ শতাংশ জমি বিক্রি করবে বলে সাড়ে ৫লাখ টাকা বায়না হিসেবে নেন। ২০ জুলাই থেকে ২০ অক্টোবর এর মধ্যে বাকি টাকা পরিশোধ কররে জমি সাবকবলা দলিল করে দিবেন বলে কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়। কিন্তু তিনি জমি না দেয়ার ফলে গত ১৫ জুন বেলা ২টার দিকে তার কাছ থেকে টাকা চাইতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। ওই সময় তিনি আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি ধমকি প্রদান করে। যে কারণে তিনি প্রাণ রক্ষায় থানায় জিডি করেন।
এদিকে এসব অভিযোগ ও জিডির আলোকে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া পৃথক কর্মকর্তাদের ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
ভুক্তভোগীদের দাবী গোলাম মর্তুজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়।