চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশের এসআইয়ের বাসা থেকে সরকারি পিস্তল ও গুলি চুরির ঘটনায় পৃথক অভিযানে দুই ভায়রা মো. সাঈদুল ইসলাম ওরফে সাঈদ (৩৫) ও মো. সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত ৫ মে ফরিদগঞ্জ থানার প্রায় ১০০ গজ উত্তরে এসআই রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়ার ভাড়া বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। পরে ১৬ মে চাঁদপুর ডিবি পুলিশ ও ঢাকার শাহাআলি থানা পুলিশ মিরপুর-১ এলাকায় তুরাগ বস্তিতে অভিযান চালিয়ে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সুমন পুলিশকে জানায়, তা দুই ভায়রা ফরিদগঞ্জ থানা এলাকায় পুলিশের বাসায় চুরি করে রিভলবারটি নিয়ে যায় এবং ২০ হাজার টাকায় রুবেল নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বরগুনায় অভিযান চালিয়ে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ১৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে ঢাকার শাহ আলী থানায় অস্ত্র আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় সুমন ও রুবেলকে ঢাকার জেলা হাজতে পাঠানো হয়।
চুরির ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুজনকেই দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সুমনকে ফরিদগঞ্জ থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, চুরির ঘটনায় তারা দুই ভায়রা মিলেই চুরি করে। চুরির সাথে তার বড় ভায়রা সাঈদুল ইসলাম ওরফে সাঈদও জড়িত ছিল।
সুমনের দেওয়া তথ্যে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে ঢাকার মিরপুর এলাকায় অভিযান চালায় এরপর ঝালকাঠিতে অভিযান চালিয়ে ৫ জুলাই রাতে সাঈদকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে ফরিদগঞ্জ থানায় আনা হয়।
গ্রেপ্তারের পর সাঈদ জানায়, সুমন তার ছোট ভায়রা এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে চুরি করে আসছিল। সর্বশেষ গত ৫ মে ফরিদগঞ্জে এসে তারা পুলিশ সদস্যের বাসা থেকে রিভলবার চুরি করে।
গ্রেপ্তারকৃত সাঈদুল ইসলাম ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সুক্তাঘর ইউনিয়নের কেওতা গ্রামের ফকির বাড়ির মোবাক্ষের আলী ফকিরের ছেলে।
সুমন ইতোমধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ্ আলম বলেন, “এসআই রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়ার বাসা থেকে সরকারি রিভলবার চুরির ঘটনায় দুই ভায়রাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুমন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে, তারা দুই ভাই মিলে চুরি করেছে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের অপরাধে জড়িত ছিল। সাঈদকেও আজ আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।”