জানা গেছে, পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে ১২জুন রাতে মোস্তফাকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষ সোহেল গংরা। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সোহেল, তার ভাই ফয়সাল ও রুবেল এবং তাদের পিতা আবুল হোসেনসহ পরিবারের সদস্যরা মোস্তফাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা মোস্তফাকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানের ৭দিন চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ১৮ জুন বুধবার গভীর রাতে মারা যায় সে। অপরদিকে, এঘটনায় মোস্তফার ভাই আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ১৬জুন সোমবার ৪জনের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। মামলায় এজাহার নামীয় সবাই একই পরিবারের সদস্য। পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযান পরিচালনা করে পিতা-পুত্রসহ তিনজনকে ঢাকার তেজগাঁও এলাকা ও ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করেছে। তাদের মধ্যে পিতা আবুল হোসেন ও ছেলে রুবেল হোসেন জামিনে বের হয়ে আসলেও অপর ছেলে ফয়সাল হোসেন এখনও জেলহাজতে রয়েছে। তবে মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী সোহেল এখনও পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় মাদক মামলাও রয়েছে।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, সোহেলদের পুরো পরিবারই মাদক কেনা-বেঁচার সাথে জড়িত। এলাকার জনসাধারন তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই নুরুল আলম বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মোস্তফা মারা গেছে। সেখানেই তার ময়না তদন্ত সম্পন্ন শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। প্রধান আসামী সোহেলকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অত্র থানায় মাদক মামলা রয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, এঘটনায় এজাহার নামীয় সবাই একই পরিবারের সদস্য, ইতিমধ্যে পিতা-পুত্রসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। প্রধান আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।#