ঢাকাশনিবার , ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলামিক
  7. কবিতা
  8. কৃষি সংবাদ
  9. ক্যাম্পাস
  10. খাদ্য ও পুষ্টি
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. ছড়া
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

একটি পরিবারকে নি:স্ব করার নেপথ্যে যত অপরাধ!

নিজস্ব প্রতিনিধি
এপ্রিল ১৯, ২০২৫ ৪:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চাঁদপুর সদর উপজেলার দাসদী গ্রামের বাসিন্দা মরহুম রমজুল্লা পাঠান ওরফে রুমুজ আলী। খুবই নীরিহ প্রকৃতির এই ব্যক্তির তিন ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী রেখে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু নিজস্ব সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো একই বাড়ির নজম উদ্দিন পাঠান গংদের সাথে। রুমুজ আলী পরিবারের ওয়ারিশরা তৎকালীন সময়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া এবং সহজ সরল হওয়ার কারণে তাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করার জন্য নানা পরিকল্পনা, অপচেষ্টা একাধিক মিথ্যা মামলা করে। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে মফিজ উদ্দিন পাঠানের স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে চূড়ান্ত ষড়যন্ত্র শুরু করে। এই মামলায় রুমুজ আলীর সন্তানদের আসামী করায় সহায় সম্পত্তি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়ে পরিবারটি। মফিজ উদ্দিন পাঠানের স্ত্রী ও সন্তানরা ধারবাহিক অপরাধ করে এখনো সমাজে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

একটি পরিবার কিভাবে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রের জালে আটকে নি:স্ব হয়ে পড়ে সে বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো হয়। এতে বেরিয়ে আসে অপরাধের নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। অপরাধের মূল পরিকল্পনাকারী হচ্ছে মফিজ উদ্দিন পাঠানের সন্তানরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে এক সময়কার চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সদস্য এবং বর্তমানে আইনজীবী শাহজাহান পাঠান।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মরহুম রমজুল্লা পাঠানের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে মৃত আব্দুল মজিদ, দ্বিতীয় ছেলে মৃত দুলু মিয়া, তৃতীয় ছেলে সহিদ উল্লা এবং একমাত্র মেয়ে মৃত মল্লিকা বানু এবং স্ত্রী খাদিজা বেগম। এই পরিবারের সাথে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে বহু বছর বিরোধ চলে আসছে মফিজ উদ্দিন পাঠানের সন্তানদের সাথে।

মরহুম রমজুল্লা পাঠানের সম্পদের বিবরণ: তিনি আরএস এবং সিএস মূলে ক্রয় ও ওয়ারিশ সূত্রে দুই মৌজায় ২.৮৮ একর সম্পত্তির মালিক। পরবর্তীতে বিএস জরিপের সময়ে একই বাড়ির মফিজ পাঠান গংরা দাসদী মৌজার একাধিক দাগে .৯৫ একর তাদের তখলে নিয়ে যায়। বিএস খতিয়ানে তার ওয়ারিশগণ মালিক হন ১.৯৩ একর সম্পত্তির। নিজস্ব প্রয়োজনে ওয়ারিশার সম্পত্তি বিক্রি করেন প্রায় ৯০ শতাংশ। মরহুম রমজুল্লা পাঠানের বর্তমান ওয়ারিশরা বাকী সম্পত্তির মালিক। কিন্তু এই সম্পত্ত্বিও এই নীরিহ পরিবার ভোগ দখল করতে পারছেন না। কারণ পরিবারটি মফিজ উদ্দিন পাঠানের সন্তান ও তাদের চক্রের কঠিন জুলুম, নির্যাতন ও মামলা শিকার।

মফিজ উদ্দিন পাঠানের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের মিথ্যা মামলা: মফিজ উদ্দিন পাঠান ও মৃত আব্দুল মজিদ পাঠান গংদের মধ্যে ধারবাহিক বিরোধ চলে আসছিলো। এরই মধ্যে আব্দুল মজিদ পাঠানদের হয়রানি ও তাদের সম্পত্তি দখল করার জন্য ১৯৯৮ সালের ২৫ অক্টোবর চাঁদপুর সদর মডেল থানায় সন্তান গুম ও খুনের মিথ্যা মামলায় বাদী হন ফাতেমা বেগম। ওই মামলাটি বাংলা সিনেমাকেও হার মানায়। এই মামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও গল্প সাজিয়েছেন ফাতেমা বেগমের ছেলে বর্তমান আইনজীবী শাহজাহান পাঠান চক্র।

সাজানো এই মামলার অভিযোগ ও আসামী হন যারা: মফিজ উদ্দিন পাঠানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম তার ছোট সন্তান মাসুদ পাঠান ১৯৯৮ সালের ২৮ অক্টোবর বাবুরহাট বাজার থেকে বাড়িতে আসার পথে অপহরণ (গুম) ও খুন হওয়ার সম্ভাবনা দাবী করে ৩৬৪/৩৪ ধারায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং-১৭)। আদালতে মামলা নং-জিআর ৮৪৩/৯৮। ওই মামলায় তিনি আসামী করেন-দুলু পাঠান, আব্দুর রশিদ মাল, আব্দুল মজিদ পাঠান, খোরশেদ আলম পাঠান, দেলোয়ার হোসেন খাঁ, আনোয়ার হোসেন (মনা), আব্দুল জলিল মাল, মানিক মাল ও রওশন আরা বেগমকে।

মামলা দায়ের করার পর ওই রাতেই পুলিশ আসামী দুলু পাঠান, আব্দুল মজিদ পাঠান, আব্দুর রশিদ মাল, দেলোয়ার হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন, খোরশেদ আলম পাঠান ও রওশন আরা বেগম গ্রেপ্তার করে। আসামীদের পুলিশ আদালতে সোপর্দ করে এবং আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। ওই দিন আদালতে বাদী ফাতেমা বেগম যেসব অভিযোগ উল্লেখ করেন, সেসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামীরা জামিন পাননি। তবে ওইসব অভিযোগগুলো দীর্ঘদিন মামলা চলমান অবস্থায় সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমাণিত হয় (মামলার সকল নথি সংরক্ষিত)।

মিথ্যা মামলায় যেভাবে নি:স্ব হয় মরহুম রমজুল্লা পাঠান পরিবার: ফাতেমা বেগমের মিথ্যা মামলায় আসামী হয়ে রমজুল্লা পাঠানের সন্তানরা কারাভোগ করে আসছিলেন। এই সুযোগটি কাজে লাগায় তৎকালীন আইনজীবী সহকারী ফাতেমা বেগমের ছেলে শাহজাহান পাঠান। তিনি দালাল ও সংঘবদ্ধ চক্রের সহযোগিতায় মজিদ পাঠান গংদের সম্পত্তি বিক্রি করতে বাধ্য করেন। অসহায় হয়ে পড়ে পরিবারটি। তাদের সন্তানরা ছিলো খুবই ছোট। আর্থিক অবস্থাও ভালো ছিলে না। মামলা পরিচালনাসহ পরিবারের খরচ চালাতে গিয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ জমি বিক্রি করতে বাধ্য হন। এসব জমির ক্রেতা ছিলেন শাহজাহান গংদের তৈরী করা এবং তাদের আত্মীয় স্বজন। ওই সময় থেকে জমি বিক্রি করতে গিয়ে নানা পরিকল্পনায় এখন পর্যন্ত মজিদ পাঠান গংদের সম্পত্তি বেহাত অবস্থায়।

মাসুদ গুম ও খুন হওয়ার সাজানো গল্প: ফাতেমা বেগমের দায়ের করা মামলায় তার ছেলে মাসুদ গুম ও খুনের অভিযুক্ত আসামীদের মধ্যে অনেকেই বর্তমান মৃত। তিনি যেসব অভিযোগ আনেন তা সবই মিথ্যা ও বানোয়াট। সম্পত্তিগত বিরোধকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এই মামলাটির গল্প সাজানো হয়। পরবর্তীতে মামলাটি ২০১০ সালে ১৫ জুন চাঁদপুর সহকারী দায়রা জজ ১ম আদালতে খারিজ হওয়ার পর আসল সত্য বেরিয়ে আসে (মামলার বিবরণ সংরক্ষিত)। অর্থাৎ মাসুদকে অপহরণ ও খুন করার অভিযোগ কোনভাবেই সত্যতা মিলেনি। বাদী ও স্বাক্ষীরা তা স্বীকার করেন। এর আগে ২০০৩ সালের ২০ জানুয়ারি রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার চাঘটা গ্রামের আতাহার আলীর বাড়ী থেকে তাকে এএসআই দেলোয়ার হোসেন উদ্ধার করে। পরে তাকে রাজশাহী আদালতে সোপর্দ করে। সেখান থেকে আইনী প্রক্রিয়া শেষে ১ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর কারাগারে হস্তান্তর করা হয়। এই বিষয়ে ওই সময়ে ‘৫ বছর আগে খুন হওয়া চাঁদপুরের মাসুদকে রাজশাহী থেকে জীবিত গ্রেফতার’ শিরোনামে দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠে সংবাদ প্রকাশ হয়।

এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মামলার বাদী ফাতেমা বেগম আইনজীবীর জেরাতে প্রথমে মিথ্যা তথ্য দেন। তার তিন বোনের মধ্যে একজনের ঠিকানা জানেন না বলেন। ওই বোনই হচ্ছে মাসুদের শ্বাশুড়ি। মামলার স্বাক্ষী ছিলেন বাদী ফাতেমা বেগমের আপনজন। রাজশাহীর জনৈক আতাহার আলী তার বোন জামাতা। বাদী ও স্বাক্ষীরা পরামর্শ করে মাসুদকে গুম ও খুনের নাটক সাজায়। মামলার রায়ের কপিতে এই বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয় (মামলার নথি সংরক্ষিত)।

আইনজীবী শাহজাহান পাঠানের পিছনের গল্প: তিনি এক সময় আইনজীবী সহকারী হওয়ার কারণে মামলার ফাঁক ফোকর বুঝতেন। তার আরো দুই ভাই একই পেশায় ছিলেন। এসব প্রভাব খাটিয়ে তিনি নিজ বাড়ীসহ এলাকার সহজ-সরল লোকদের নানাভাবে সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছিলেন। অনুসন্ধ্যানে এমন একটি চিত্র প্রকাশ হয় তৎকালীন দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠ পত্রিকায়। ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি সংবাদের শিরোনাম ছিলো ‘বিচারের দাবিতে সেনাক্যাম্পে নির্যাতিতদের ভিড়’ ওই পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানাগেছে, শাহজাহান পাঠানের অত্যাচার ও নির্যাতের শিকার ২০ থেকে ২৫জন নারী-পুরুষ চাঁদপুর টেকনিক্যাল হাইস্কল মাঠে আর্মি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন ফরিদের নিকট একগাঁদা লিখিত অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেন তার আপন চাচা নুরুল ইসলাম পাঠান।

এতেও তিনি ক্ষান্ত হননি। তার পরিকল্পনায় তার মা ফাতেমা বেগম মজিদ আলী গংদের বিরুদ্ধে গুম ও খুনের যে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি তাদের বিরুদ্ধে রায় হওয়ার সম্ভাবনা জানতে পেরে মামলার আসামী আঃ রশিদ মালকে বাদী তৈরী করে চাঁদপুর সদর মডেল থানা বরাবর একটি সাজানো মামলার কাগজ সৃজন করেন। ওই সময় আঃ রশিদ মাল মামলার নিয়মিত হাজিরা দিতে আসলে শাহজাহান পাঠান প্রতারণা করে থানা বরাবর সৃজনকৃত মামলার বাদীর স্থানে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এই সংক্রান্ত মামলার কাগজটি পুরোই মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রতারণার শিকার আঃ রশিদ মাল বর্তমানে জীবীত নেই। মৃত্যুর পূর্বেই তিনি পরিবারের লোকদের কাছে এই প্রতরণার কথা জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মরহুম দুলু পাঠানের ছেলে আব্দুল হামিদ পাঠান বলেন, আমাদের পরিবারকে নি:স্ব করে দিয়েও প্রতিপক্ষ ক্ষান্ত হননি। তারা এখনো আমাদের সম্পত্তি দখল করে আছে। মামলা চলমান অবস্থায় তারা স্থাপনা তৈরী করে আসছে। সংঘবদ্ধ চক্রের সহযোগিতায় আমাদের পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তির মধ্যে বিএস খতিয়ানের (৯২৬ ও ৯৯৭ দাগে) ১৪ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখল করে আছে আয়াত উল্লাহ মিজি, ৯২৬ দাগে ৩ শতাংশ দখলে আছে ছিডু ঢালী, ৯২৭ দাগে ১শতাংশ অবৈধ দখলে আছে ফরিদ পাঠান এবং সাবেক ৫৮৯ দাগে ৩১ শতাংশ ও ৩১৩ দাগে ১৮শতাংশ অবৈধ দখলে আছে শাহজাহান পাঠান ও ফরিদ পাঠান। এছাড়াও গোলাপ খা গং সাবেক ৩১৩ ও বিএস ৯০৮ দাগে ৬শতাংশ অবৈধ দখলে আছে।
এছাড়াও আমার বাবা দুলু পাঠান জীবীত থাকাকালীন সময়ে ১৯৯৪ সালে শাহজাহান পাঠানের পিতা মফিজ উদ্দিন গংদের সাথে সম্পত্তি নিয়ে যে মামলা হয়। ১৯৯৫ সালে সেই মামলাটির রায়ও আমাদের পক্ষে ছিলো (মামলার নথি সংরক্ষিত)।

উল্লেখিত সম্পত্তির মধ্যে মজিদ আলী গংরা ২০০১ সালে ১৩৭ বিএস খতিয়ানভুক্ত ৯০৮ দাগের .২৭ শতাংশ নাল সম্পত্তির মধ্যে ২১ শতাংশ জমি গোলাপ খাঁ গংদের কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু এই গোলাপ খাঁ গংরা বর্তমানে পুরো ২৭ শতাংশ জমি মাটি কেটে গর্ত করে তাদের দখলে রেখেছেন। বিক্রির পূর্বেই এই জমির বিএস জরিপ সম্পন্ন হয়। ওই সময় মজিদ আলী গংরা তাদেরই সহযোগিদের মিথ্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন।

আব্দুল হামিদ পাঠান বলেন, আমাদের সম্পত্তি অবৈধ দখলকারী আয়াত উল্লাহ মিজি আমাদের ওয়ারিশ না। তারপরেও তিনি আমাদের ১৪ শতাংশ সম্পত্তি দখল করে আছেন। এর মধ্যে তিনি আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য ৯৯৭ দাগে ৩শতাংশ তার নামে এবং তার অন্য শরিকদের নিয়ে ৯০৮ দাগে ৩শতাংশ জমি বিএস খতিয়ানভুক্ত করার জন্য চাঁদপুর ল্যান্ড সার্ভে ও সহকারী জজ আদালতে দুটি হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। মূলত তিনি আমাদের উল্লেখিত সব জমিই অবৈধভাবে দখলে আছেন এবং তার নামে বিএস খতিয়ান হওয়ার কোন ধরণের সুযোগ নেই।

মরহুম মজিদ পাঠানের ছেলে শাহ পরান বলেন, আমার দাদার মৃত্যুর পর বাবা ও চাচা একই বাড়ির নজম উদ্দিন পাঠান এর ওয়ারিশদের দীর্ঘ ষড়যন্ত্র, মিথ্যা মামলা ও হয়রানির শিকার মৃত্যুবরণ করেন এবং তাদের সহায় সম্পত্তি হারান। তাদের এই জুলুম ও নির্যাতন থেকে আমারও রেহাই পাচ্ছি না। সর্বশেষ মফিজ উদ্দিন পাঠানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম মিথ্যা মামলা দিয়ে আমদের যে ক্ষতি করেছে, তা আদালতের রায়ে স্পষ্ট ও সত্যতা মিলে। কিন্তু ওই সময় আমরা ছোট থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের ওয়ারশিরা এখন আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা এসব অভিযোগের বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রেখেছি।

নঈমদ্দিন মিজির ছেলে আয়াত উল্লাহ মিজিকে অবগত করা হয় তিনি মজিদ পাঠান গংদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলে আছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, আমি বিএস খতিয়ান সংশোধনের জন্য দুটি মামলা দিয়েছি। মামলার রায়ে সঠিক জবাব পাওয়া যাবে। কেউ যদি আমার সম্পত্তির বিষয়ে ভিন্ন কথা বলে থাকে তা সঠিক নয়।

মজিদ পাঠান গংদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলে আছেন একই বাড়ির ফরিদ পাঠান গংরা। এমন অভিযোগের সত্যতা জানার জন ফরিদ পাঠানের ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়া হয়। তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন। পরবর্তীতেও আর ফোন করেননি। যে কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

অবৈধভাবে দখলে আছেন শাহজাহান পাঠান। এমন অভিযোগের বিষয়ে সতত্যতা জানার জন্য সরাসরি কথা হয় শাজাহান পাঠানের সাথে। তিনি বলেন, বাড়ির এসব সম্পত্তি নিয়ে দাদা ও বাবার সাথেও মামলা হয়েছে। ওইসব মামলার রায় আমরা পেয়েছি। এখন মামলা আফিল বিভাগে। যদি মজিদ আলী পাঠান গংরা মামলা রায়ে সম্পত্তি পায়, তাহলে তাদের সম্পত্তি তারা বুঝে নিবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
%d bloggers like this: