চাঁদপুর সদর উপজেলার ৮ নং বাগাদি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর গাছতলা এলাকার গাজীবাড়ির মৃত জয়নাল গাজীর পুত্র শামসুল গাজীর দীর্ঘদিনের ব্যবহৃত পাকের ঘর ভেঙে ঐ ভূমি দখলের অভিযোগ একই বাড়ির মজিব গাজীর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগকারী শামসুল গাজী জানান, বাগাদি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মহাদেব গাছতলা মৌজার ২৭১ নং খতিয়ানে সাবেক ২৬৪ দাগে হাল ৫১৭ দাগের অন্দরে পৈতৃক সূত্রে আমি সাড়ে ৪ শতাংশ ভূমির মালিক। কিন্তু এর মধ্যে আড়াই শতক ভূমি আমার দখলে রয়েছে, বাকি জমি আমার পার্শ্ববর্তীরা ভোগ দখল করে রেখেছে। তারা কোনোভাবেই এই জমি আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে না এই নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকার মুরুব্বীদের নিয়ে শালিস বৈঠক হয়। এখানে আমার দীর্ঘদিনের বসতবাড়ি ও পাকের ঘর রয়েছে। সম্প্রতি শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকালে আমাদের একই বাড়ির মৃতঃ ইসাক গাজীর পুত্র মজিব গাজী, মৃতঃ আউয়াল গাজীর পুত্র ইউসুফ গাজী ও তার ছেলে ইফাত গাজী, লতিফ গাজীর পুত্র সেলিম গাজী ও মৃতঃ শাহজাহান গাজীর পুত্র জাকির সহ আরো ১০-১৫ জনের সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন নিয়ে আমার বসত ঘরে লাগোয়া পাকের ঘরটি ভাঙ্গচুর করে সেখানে একটি দেওয়াল নির্মাণ করে।
আমি বাড়িতে না থাকায় আমার পরিবারের লোকজন এগিয়ে গেলে তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারধর করতে এগিয়ে আসে, এই ভয়ে তারা সেখান থেকে চলে আসে। আমি ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ৯৯৯ ফোন দিলে চাঁদপুর সদর মডেল থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে আসে। এরই মধ্যে তারা পাকের ঘরটি ভেঙে চলে যায়।
শামসুল গাজী আরো জানায়, পরবর্তীতে পুলিশ চলে গেলে সেখানে তারা দেওয়াল নির্মাণ করে। আমি এই বিষয়টি নিয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় ও সেনা ক্যাম্পে পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের ভিত্তিতে মডেল থানার সাব -ইন্সপেক্টর আব্দুল আলিম ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি তদন্ত করে।
এ বিষয়ে বিবাদী পক্ষ ইউসুফ গাজীর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, এটি দীর্ঘদিনের সমস্যা আমরা বাড়ির মুরুব্বিরা বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার বৈঠকে বসেছি উভয় পক্ষেই এখানে জমি পাবে বলে দাবী করছেন। শামসুল গাজী জোরপূর্বক এখানে পাকের ঘর নির্মাণ করেছেন আমরা দরবারীরা তখন নিষেধ করেছিলাম কিন্তু তিনি তা মানেননি, তাই সকলে একত্রিত হয়েই পাকের ঘরটি সরিয়ে ফেলেছি।
প্রকৃত মাপ যোগের পর এই ভুমির মালিক যে হবেন তাকেই বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী শামসুল গাজী তিনি আরো জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে আমার বসতঘর ও পাকের ঘরটি ব্যবহার করে আসছি তারা আমার উপর ঈশ্বর্বিত হয়ে আমার পাকের ঘরটি ভাঙচুর করেছে তাই আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি বিষয়টি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আমি যেন সুবিচার পাই।