ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৭ মার্চ ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলামিক
  7. কবিতা
  8. কৃষি সংবাদ
  9. ক্যাম্পাস
  10. খাদ্য ও পুষ্টি
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. ছড়া
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চাঁদপুর বিআরডিবি’র তিন কর্মকর্তার ফাঁদে মাঠ সংগঠক ইকবাল বাহার!

নিজস্ব প্রতিনিধি
মার্চ ২৭, ২০২৫ ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) চাঁদপুর সদর উপজেলা অফিসে স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে প্রায় ৪৩ লাখ টাকা লোপাটের আলোচিত ঘটনায় পরিকল্পতভাবে মাঠ সংগঠক মো. ইকবাল বাহারকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন তিনি। পতিত হাসিনা সরকারের দোসর কর্মকর্তারা তাকে চাকুরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র লীপ্ত রয়েছে। ইকবালকে অনিয়মে জড়িয়ে পড়ার সিন্ডিকেটে তারা নানাভাবে যুক্ত থাকলেও সর্বশেষ নিজেদের রক্ষা করতে নানা কল্পকাহিনী সাজিয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, সদর উপজেলার বিআরডিবি’র আলোচিত ৪২ লাখ ৮২ হাজার ১৭৮ টাকা আত্মসাৎ কান্ডে সরাসরি জড়িত সদর উপজেলা বিআরডিবি অফিসের হিসাব রক্ষক মো. আবদুল গণি, অবসরপ্রাপ্ত সাবেক হিসাব রক্ষক মো. আবুল কাশেম খান, হিসাব সহকারী আফরোজা বেগম। তারা চাঁদপুরের স্থানীয় বাসিন্দা ও পতিত ফ্যসিস্ট সরকারের দোসর হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যহারের মাধ্যমে মাঠ সংগঠক ইকবাল বাহারকে দোষারপ করে নিজদের আড়াল করতে সক্ষম হয়েছেন।

গেল বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের পর এই তিন কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐ দুর্নীতির টাকা দিয়ে ইতিমধ্যে নিজদের দালান বাড়ি নির্মান করলেও অভিযুক্ত ইকবাল বাহারকে চাকুরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করার জন্য পায়তারা শুরু করেন। কারণ তাদের দীর্ঘদিনের দুর্নীতি ও অনিয়ম এর তথ্য ইকবাল বাহারের মাধ্যমে বেরিয়ে আসার সুযোগ তৈরি হয়। এ জন্য তারা পরিকল্পিতভাবে তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করে ইকবাল বাহারের সরলতার সুযোগে দুর্নীতির সব দায় চাপিয়ে দিতে সক্ষম হয়।

অভিযুক্ত ইকবাল বাহারের দাবী-তদন্ত কমিটির সুপারিশে সাময়িক বরখাস্ত করে তাকে গত ১৭ অক্টোবর বিআরডিবি’র জেলা দপ্তর ময়মনসিংয়ে সংযুক্ত করা হয়। ময়মনসিংহে যোগদানের জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে চাঁদপুরের কর্মস্থল থেকে ছাড়পত্র ও এলপিচি’র জন্য বারবার আবেদন করলে অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তা-কর্মচারি তা আটকে দেন। যার কারণে তাকে গেল বছর ১৬ নভেম্বর যুগ্ম-পরিচালক (প্রশাসন) মো. তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে ময়মনসিংয়ে যোগদান না করার বিভাগীয় মামলা দায়ের করেন। যা গত ১০ ডিসেম্বর মাাঠ সংগঠক ইকবাল বাহার অবগত হন এবং ১৮ ডিসেম্বর তার লিখিত জবাব দেন।

ইকবাল বাহারের কাছ থেকে অভিযুক্তরা পরিকল্পিত উপায়ে ধার হিসেবে ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯শ’ টাকা নেয়। মুলত সেই টাকাও মাঠ সংগঠকের উপর দায় চাপিয়ে দিতে চায় কাশেম, গনি ও আফরোজা গং। তারা পরস্পর যোগসাজশে নিজ নিজ এলাকায় এই দুর্নীতির টাকা বাড়ি-দালাল নির্মাণ ও পারিবারিক কাজে ব্যয় করেন। ইকবাল বাহার ঐ টাকা ফেরত চেয়ে আইনী ব্যবস্থা হিসেবে তাদের নাম উল্লেখ করে ২৪ সালের ২৭ অক্টোবর চাঁদপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আবুল কাশেম খান, আবদুল গনি ও আফরোজা বেগম তার ছাড়পত্র ও এলপিচি কৌশলে আটকে দেন এবং বিভাগীয় মামলার মাধ্যমে চাকুরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের পায়তারা করছেন বলে ইকবাল জানান।

ইকবাল বাহারের দাবি, অভিযুক্ত মো. আবুল কাশেম খান টানা ২৩ বছর, আবদুল গনি ২০১৭ সাল থেকে ৮ বছরের অধিক ও তার স্ত্রী আফরোজা বেগম একই কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করে আসছেন পতিত হাসিনা সরকারের দোসর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে। পাশাপাশি তারা একে অপরের আত্মীয়। কাশেম খান বর্তমানে অবসরত্তোর ছুটি ভোগরত আছেন। সে ইকবাল বাহারকে ব্যবহার করে ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯শ’ টাকা ফেরত না দিয়ে অবসরে গেলে লোপাট হওয়া ৪২ লাখ ৮২ হাজার ১৭৮ টাকার কী হবে তা নিয়েই এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
%d bloggers like this: