সরেজমিন ও খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গ্রীন হেলথ মেডিকেল সেন্টার নামে প্রতিষ্ঠানটি নতুন হলেও একই স্থানে অন্য নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান ছিলো। ওই প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে এর আগে অভিযোগ উঠে। কারণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘেঁষে এই প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্র করে পূর্ব থেকে একটি দালাল চক্র গড়ে উঠে। ওই দালাল চক্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসরে রোগীদের প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়।
সম্প্রতি হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক রোগী তার নবজাতক নিয়ে গেলে দালাল চক্রের হাতে পড়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়। গ্রাম থেকে সহজ সরল মানুষ অসুস্থ রোগী নিয়ে এসে তাদের খপ্পরে পড়ে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এভাবে দীর্ঘদিনের অভিযোগ থাকলেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন।
স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি জানান, গ্রীন হেলথ মেডিকেল সেন্টার গত প্রায় তিন মাস আগে চালু হয়। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামগত অবস্থায় ঠিক নেই। দোকান ঘরের মত একতলা মার্কেটে এটির অবস্থান। নিবন্ধন না হলেও তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে একটি অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে ডাঃ মো. নাজমুল হক চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের একজন চিকিৎসক চেম্বার করে রোগী দেখেন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, হাজীগঞ্জ উপজেলায় যে কয়টি হসপিটাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে এর মধ্যে একটি বন্ধ, কোনটি নবায়নের জন্য আবেদন করেছে। আর একমাত্র নিবন্ধন ছাড়া প্রতিষ্ঠান হচ্ছে গ্রীন হেলথ মেডিকেল সেন্টার। তবে এই প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। পতিত হাসিনা সরকারের দোসন একাধিক ব্যাক্তি এই প্রতিষ্ঠানে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন বলে জানাগেছে।
এই বিষয়ে হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই প্রতিষ্ঠান আগে অন্য নামে ছিলো। তাদের কাছ থেকে আমরা নিয়েছি এবং নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। নিবন্ধন ছাড়া এমন প্রতিষ্ঠান কীভাবে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় প্রশ্ন করা হয় তাকে। এলোমেলো জবাবে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ তানভীর বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি আবেদন করার পর আমি একবার পরিদর্শন করেছি। সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আবারও কাগজপত্র দেখার জন্য বলেছে আমি খুব শিগগিরই দেখবো।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুর আলম দীন এই বিষয়ে বলেন, এই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাকে বলেছি দ্রুত সময়ের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।