সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদপুরে বেশ আলোচিত গভীর রাতে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী নৌযান থেকে ৩০ মন ইলিশ মাছ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
গত ২০ জানুয়ারি সোমবার গভীর রাতে ঢাকা- বরিশাল নৌ রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি রেডসান ও এমভি প্রিন্স অব রাসেল থেকে গভীর রাতে লঞ্চ থামিয়ে প্রায় ৩০ মন ইলিশ মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। লুটের ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ পায় বরিশালের মাছ ব্যবসায়ী জহির মোহাম্মদ ও পারভেজ নামের দুই ব্যাক্তির মাধ্যমে। তার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, চাঁদপুর নৌ ফাঁড়ির স্পিডবোট চালক রবিন মিয়া ও বড় স্টেশন মাছ ব্যবসায়ী জিয়া প্রধানিয়ার নেতৃত্বে একদল ছিনতাইকারী এমভি প্রিন্স অব রাসেল ও এমভি রেডসান লঞ্চ কে সিগন্যাল দেয়। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ সিগন্যাল পেয়ে চাঁদপুর মিনি কক্সবাজার এলাকায় লঞ্চটি থামান এবং তারা বলেন এই লঞ্চে অবৈধ কিছু মাছ আসছে আমরা এগুলো জব্দ করতে আসছি। পরে তারা ৩০ মন মাছ নিয়ে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাটে আসে। সেখান থেকে বড়স্টেশনের জিয়া প্রধানিয়ার নির্দেশে মেসার্স প্রধানিয়া ট্রেডার্স এ মাছ গুলো রাখা হয়। পরবর্তীতে এই মাছগুলো বিভিন্ন ছোট ছোট পাইকারদের কাছে বিক্রয় করা হয়। ৩০ মন ইলিশ ছিনতাইয়ের ঘটনায় বড় স্টেশন এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনা বিরাজ করতেছে।
বড় স্টেশন এলাকার গণ্যমান্য লোকজন জানান, এখনো ভুক্তভোগীরা কেউ এ বিষয়ে কোন সমাধান পায়নি। তারা আশাবাদী প্রশাসনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের কাছে মাছগুলো ফেরত দেয়া হবে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত জিয়া প্রধানিয়া বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার, আমাকে মিথ্যে কথা বলে পাষানো হচ্ছে। মাছ ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে আমি কখনো জড়িতই ছিলাম না। এই ছিনতাইয়ের ঘটনার সঠিক তদন্ত করে বিচার হওয়া দরকার।
চাঁদপুর নৌ থানার ওসি ইকবার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, মাছ ছিনতাই হয়েছে এরকম একটি খবর আমি পেয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোন আলামত পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর নৌ ফাঁড়ির স্পিডবোট চালক রবিন মিয়া নামক এক ব্যক্তিকে দাবী করা হয়েছে। সত্য হল এটাই যে রবিন মিয়া নামে আমাদের কোন স্পিডবোট চালক নেই।