চাঁদপুরে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তারুণ্য উৎসব উদযাপন উপলক্ষে মাসব্যাপী তাঁত, বস্ত্র, চারু ও কারু এবং পাটজাত পণ্য মেলা উদ্বোধন হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে ফুলেল ফিতা কেটে, শান্তির প্রতিক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
তারুণ্যের উৎসবকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে জেলা প্রশাসক বক্তব্যে বলেন, তারুণ্যের উৎসব ৫ আগস্ট সকাল ১১টার পর থেকে শুরু হয়েছে। তখন থেকেই তরুণরা উৎসব শুরু করে দিয়েছে। তরুণরা এই উৎসবের মাধ্যমেই দেশ গড়বে। দেশ গড়ার জন্যই আমরা এই তারুণ্যের উৎসবের আয়োজন করেছি।
ডিসি বলেন, আমরা কী চাই-সমাজ বিনির্মাণে তরুনরা ভূমিকা রাখবে। তারা পড়াশুনায়, সমাজ সংস্কার, সমাজের ত্রুটি বিচ্যুতি মনযোগী হবে এবং সেগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরবে। সে অনুযায়ি রাষ্ট্র এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে বলে আমরা বিশ^াস করি।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাই তরুনরা কোন ভুল পথে যাবে না। তরুনরা মাদকাসক্তে জড়িত হবে না। তারা যেখানে অন্যায় দেখবে, সেখানেই প্রতিবাদ করবে।
স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ও চাঁদপুর পৌর প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, চাঁদপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মো. শাহাজাহান মিয়া, গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক কাজী রাসেল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী মো. রবিউল।
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান, (রাজস্ব) একরামুল ছিদ্দিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. এরশাদ উদ্দিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সুপ্রভাত চাকমা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত। সঞ্চালনায় ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মো. জাকির হোসেন।
উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক অন্যান্য অতিথিরা মেলার স্টলগুলো পরিদর্শন করেন।
মেলার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এফবিসিসিআইএর কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. সালাহউদ্দিন গনমাধ্যমকে জানান, মেলায় শতাধিক স্টলের ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে জামদানি শাড়ি, পাটজাত পণ্যসহ বিভিন্ন আকর্ষনীয় পণ্যের সমাহার রয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ৪০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। শিশু বিনোদনের জন্য খেলনা রয়েছে ১২টি। আকর্ষণীয় ফোয়ারা এবং টাওয়ার একটি। ব্রেস্ট ফিডিং, প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য একটি কক্ষ। অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থপনা এবং দুই শিফটে ৪০জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।