বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একজন গ্রাহক ১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জের বিপরীতে ৩৯ টাকা পরোক্ষ কর দিয়ে কার্যকরীভাবে ৬১ টাকার সেবা গ্রহণ করেন। কর বৃদ্ধির পর, গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জের বিপরীতে ৫৮ টাকার সেবা পাবেন। শুল্কের দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ অথচ মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ও সেবার দিক দিয়ে অবস্থান সর্বনিম্নে। সরকারের শুল্ক বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে অপারেটরগুলো সেবার মান না বাড়িয়ে মোবাইল ইন্টারনেট ও টকটাইম প্যাকেজের মূল্য নিজেদের ইচ্ছে মতো বৃদ্ধি করে। আদতে শুল্ক বৃদ্ধির সম্পূর্ণ দায় বহন করতে হয় গ্রাহকদেরই।
টিক্যাব জানায়, মূল্য বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যেই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমছে। বিটিআরসি’র হিসাবে গত অক্টোবর ২০২৪ (১২ কোটি ৩৪ লাখ) এর তুলনায় নভেম্বর ২০২৪ (১১ কোটি ৯০ লাখ) এ গ্রাহক কমেছে প্রায় ৪৪ লাখ। তাই নতুন ভাবে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে গ্রাহকরা মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহার আরো কমিয়ে দিতে পারেন। ফলে সরকার বাড়তি প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যে ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে, সে লক্ষ্য পূরণ নাও হতে পারে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পাওয়া গণমানুষের কাক্সিক্ষত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে মুঠোফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকবে বলেও নিজেদের প্রত্যাশার কথা জানায় টিক্যাব।