সম্প্রতি ওই বিভাগীয় প্রধান শ্রেণি কক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়ার সময় গোপনে মোবাইলে রেকর্ড করেন। ওই রেকর্ড হাতে আসে এই প্রতিবেদকের।
এছাড়াও এই শিক্ষকের বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে, তিনি একজন অভিয়ন শিল্পী। যে কারণে তিনি অভিনয়ের মাধ্যমে শিক্ষক ও অধ্যক্ষের মন জয় করে। কিন্তু তিনি শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে পারেননি। শিক্ষক হিসেবে তিনি পেশাগত পরিচয় দিতে পারেননি।
ওই কলেজের একজন শিক্ষক জানিয়েছেন, ফারজানা ইয়াসমীন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে যোগ্যতম না হওয়া সত্ত্বেও তাকে এই পদে বসানো হয়েছে। এই পদে যোগ্য শিক্ষক থাকলেও তাকে দেয়া হচ্ছে না। ফরাজানা ইয়াসমীন নিজে অযোগ্যতা আড়াল করতে কলেজের অন্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করেন। তিনি কলেজের শিক্ষক ফাতেমাকে স্বেচ্ছাচারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এই বিষয়ে ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, আমার বিষয়ে যেসব কথা বলা হয়েছে এসব কথা জেনে হাস্যকর মনে হচ্ছে। একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ভুল করলে তাদেরকে শাসন করা স্বাভাবিক। মূলত আমার বিষয়ে কোন ভুলত্রুটি না পাওয়ায় এসব কথাগুলো বলা হচ্ছে। আমি মনে করিনা এই ধরণের বিষয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করা প্রয়োজন।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এই কলেজটি সরকারি হওয়ার পর থেকে নানা বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। ইতোমধ্যে কলেজের অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকদের অনিয়ম নিয়ে গণামধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। কলেজটির শিক্ষার পরিবেশ বিশৃঙ্খল করার জন্য শিক্ষকদের মধ্যে একটি সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে। একই সাথে কলেজের অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। ধারাবাহিকভাবে এসব বিষয়ে অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশ হবে।