ইদানিং কালে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মোবাইল, নগদ অর্থ, স্বর্ণসহ বিভিন্ন মালামাল চুরির ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। রোগীর স্বজন সেজে চোর চক্ররা হাসপাতালে কেবিনে ও ওয়ার্ডে প্রবেশ করে চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে। সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বালিয়া মানসুরা বেগম ৩য় তলায় কেবিন ৮নং পেনবেড থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটে নগদ ৩৪ হাজার ৫ শত টাকা স্বর্ণের আংটি , রুপার চুরি, রুপার চেইন ২ টি, ভ্যাগে থাকা ডেবিট কার্ড, ব্যাংকের চেক বইসহ বিভিন্ন কাগজপত্র চুরি করে নিয়েছে চোরচক্র।কেবিনে এলাকায় সিসি ক্যামেরার না থাকায় চোর চক্রকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
শনিবার সকালে এ চুরির বিষয়ে হাসপাতলে পুলিশ নায়ক শফিকুল ইসলাম কে অবগত করলে তিনি তাৎক্ষণিক ৩য় তলা কেবিনে সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এভাবেই চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন মোবাইল, ব্যাগ ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটাচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও হাসপাতালের দায়িত্ব থাকা আনসার সদস্যদের অবহেলার কারণে এইভাবে চুরি ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগ মানসুরা বলেন আমি আমার ছেলেকে নিয়ে বেডে ঘুমিয়ে ছিলাম ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার পার্স ব্যাগে থাকা ৩৪ হাজার ৫ শত টাকা স্বর্ণের আংটি , রুপার চুরি, রুপার চেইন ২ টি, ভ্যাগে থাকা ডেবিট কার্ড, ব্যাংকের চেক বইসহ বিভিন্ন কাগজপত্র চুরি করে নিয়েছে চোরচক্র।
এ বিষয়ে নায়ক শফিকুল ইসলাম বলেন, মানসুরা শনিবার সকালে চুরির বিষয় আমাকে অবগত করলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বলেন,২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছে ৩ থেকে ৪০০, এর ভিতরে প্রতিটি রোগীর সাথে তিন থেকে চারজন করে বেডের পাশে দেখা যায়, রোগীর সাথে আসা লোকদেরকে আনসার দিয়ে প্রতিনিয়তই বের করে দেওয়া হলে পুনরায় হাসপাতালে ভিতরে।এছাড়া রোগীর স্বজন সেজে চোর চক্ররা হাসপাতালে প্রবেশ করে রোগীদের মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। হাসপাতালে সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা সম্ভব নয়। এখন থেকে সকলে একটু সচেতন হলে চোর চক্র নিধন করা সম্ভব।
চোর চক্রকে ধরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জোর দাবি জানান সচেতন মহল