চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে নাতির প্রতারণার ফাঁদে পড়ে দাদা নিজ ভিটে থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের ছিমাইল গ্রামের চৌকিদার বাড়িতে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান।
দাদা মোঃ সোলায়মান(৭০) বলেন, আমার দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান। প্রায় ২ বছর আগে নাতি রনি খাবারের সাথে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে সাব রেজিস্ট্রার অফিসে নিয়ে ৩০ শতাংশ ভূমি সাফ কবলা দলিল করে নিয়ে যায়। এ প্রতারণার কথা আমি সহ পরিবারের কেউ অবগত ছিলাম না। নাতি রনি সফিকুর রহমান নামে একজনের কাছে গোপনে উক্ত সম্পত্তি বিক্রি করে দিলে সে এসে আমার ঘর ভেঙে আমাকে ভিটে থেকে উচ্ছেদ করে দেয়। আমি এখন মাথা গোজার জন্য একটু ঠাঁই খুজতেছি।
এ বিষয়ে মোঃ সোলায়মানের বড় পুত্র মোঃ মোস্তফা জানান, শফিকুরের প্ররোচনায় আমার ভাতিজা আমার বাবা থেকে প্রতারণার মাধ্যমে সম্পত্তি লিখে নেয়। আজ আমরা নিঃস্ব একটু মাথা গোঁজার ঠাই খুজতেছি। সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মোঃ সোলায়মানের কন্যা জানান, আমার বাবা সহজ সরল। ওনার এই সরলতার সুযোগ নিয়ে সফিকুরের সহযোগিতায় আমার ভাতিজা রনি আজ আমাদের সবাইকে নিঃস্ব করে দিল। প্রশাসনের কাছে আমি এর সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার কামনা করছি।
মোঃ সোলায়মানের সহধর্মিণী জানান, ছোট পুত্রের ঘরের নাতি রনি আজ আমাদেরকে নিঃস্ব করে দিল। প্রশাসনের মাধ্যমে আমি এর সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করি।নাতি রনি বর্তমানে প্রবাসে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মোঃ সফিকুর রহমান বলেন, ছয় মাস পূর্বে আমি সোলায়মানের নাতি রনির থেকে ২৪ শতাংশ জায়গা ক্রয় করি। ওনার সম্মতিতে আরেক জায়গায় নতুন ঘর করতে সহযোগিতা করি এবং আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি আমি দখলে নেই। আমি কাউকে জোর পূর্বক ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করিনি। আইনে যদি আমি অপরাধী হয়ে থাকি তাহলে আমি সেটা মাথা পেতে নিব।